ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে এজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল এ বিষয়ে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে ইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে : রোহিঙ্গারা যাতে কোনোমতেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত না হতে পারে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এ কাজে কারও গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া এবারে ৪ জেলার ৩০ উপজেলাকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আগেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। এ ছাড়া ১৬ জুলাই এ বিষয়ে বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকও করেছে ইসি। গতকাল ইসির একজন সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত চিঠি কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে; যার অনুলিপি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসব এলাকার বিশেষ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৪ জেলার ৩০ উপজেলা : ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা চলবে কাল ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর তাদের ছবি তোলাসহ বাকি কাজ শেষ করবে ইসি।
আর হালনাগাদ ভোটারের খসড়া তালিকা ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে।ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৪ জেলার ৩০ উপজেলায় বিশেষ নজর রাখছে ইসি। এসব বিশেষ এলাকার মধ্যে কক্সবাজারেরর ৮, বান্দরবানের ৭, রাঙামাটির ৮ ও চট্টগ্রামের ৭ উপজেলা রয়েছে। এগুলো হলো : কক্সবাজারের সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবানের সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটির সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।
বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটি
বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটির ১৪ সদস্য হলেন : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), হেডম্যান (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), কারবারি (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে) ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।