মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

আমেরিকায় মসজিদে বোমা হামলা আমেরিকান মুসলমানরা সন্ত্রস্ত

প্রতিদিন ডেস্ক

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ব্লুমিংটন সিটিতে ‘দার-আল ফারুক মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় মুসলিম কমিউনিটিতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার ফজরের নামাজের সময় বিকট শব্দে বোমাটি বিস্ফোরিত হলে এলাকায় সন্ত্রস্ত ভাব ছড়িয়ে পড়ে। তবে মুসল্লিরা যে কক্ষে নামাজ আদায় করছিলেন, সেখানে ওই বিস্ফোরক ছড়িয়ে না পড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে সিটির পুলিশ প্রধান জেফ পোটস গণমাধ্যমকে জানান। অকুস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এফবিআইর স্পেশাল এজেন্ট রিচার্ড থমটন আরও উল্লেখ করেন, ‘হাতে তৈরি বোমা ছিল সেটি। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি কে এবং কেন করা হয়েছে এই হামলা তা উদঘাটনে।’ স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার ২০ ঘণ্টা পরও (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) কেউ গ্রেফতার কিংবা হামলার জন্য কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এফবিআইর জয়েন্ট টেররিজম টাস্ক ফোর্স মাঠে নেমেছে দুর্বৃত্তকে শনাক্ত এবং মোটিভ উদঘাটনে। খবর এনআরবি নিউজের।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, ভোর ৫টা ৫ মিনিটে মসজিদের কাচের জানালা ভেদ করে বোমাটি ভিতরে নিক্ষেপ করা হয়। এ প্রসঙ্গে মসজিদ কমিটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ওমর বলেন, ‘এটি ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হামলা। কারণ, বোমা নিক্ষেপের পরই একটি পিকআপ ভ্যানকে দ্রুত মসজিদের পার্কিং এলাকা থেকে চলে যেতে দেখেছেন মুসল্লিরা।’ মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। বেশ কিছু কাগজ পুড়ে গেছে। মসজিদ এলাকা ঘেরাও করে বিভিন্ন বাহিনীর তদন্তের মধ্যেই মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মুসলিম আমেরিকান সোসাইটির পরিচালক আসাদ জামান অভিযোগ করেন, ‘ভয়ংকর শব্দে বোমাটি বিস্ফোরিত হওয়ার পরই আশপাশে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের লেলিহান শিখাও প্রত্যক্ষ করেন অনেকে। প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন নিরাপত্তাহীনতায়।’

গত এক বছরে এই এলাকায় মুসলমানদের ওপর ১৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করে মোহাম্মদ ওমর জানান, ‘স্থানীয় প্রশাসনও দুর্বৃত্ত দমনে তত্পর রয়েছে। কিন্তু তবুও থামছে না বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা। মাঝে মধ্যেই আমরা টেলিফোনে হুমকি পাই, ই-মেইলও আসে। সেখানে অশ্লীল ভাষায় বলা হয় এদেশ থেকে চলে যেতে। আমরা নাকি এই সমাজের বোঝা। এবং আমরা আমেরিকার সমাজ-ব্যবস্থার হুমকি বলেও কখনো কখনো উল্লেখ করা হচ্ছে।’

মসজিদের মুসল্লি ইয়াসির আব্দেল রহমান বলেন, ‘ব্লুমিংটন মেট্রো এলাকার শিশু-কিশোররাও সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই মসজিদে আসে। আরবি শেখে তারা। এমন বোমা হামলার ঘটনায় শিশুদের মসজিদে আসার আগ্রহ কমবে, যা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।’

বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন মসজিদ সংলগ্ন এলাকা ঘেরাও করে তদন্তের সময় জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করা হয় মসজিদের পাশের মাঠে। নারীরাও একই সঙ্গে নামাজে অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর