প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে বর্তমান বিশ্বে যে ২৭টি দেশ ব্যবহার করছে এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। দেশে বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৭২৯ এমএমসিএফডি আর এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার ৭৫৪ এমএমসিএফডি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়লার ব্যবহার বেশি হচ্ছে। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারও আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পায়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২০২০ সালে গিয়ে গ্যাসের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর ২০৪১ সালে গ্যাসের চাহিদা ২-৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ১১ হাজার এমএমসিএফডির বেশি। আসছে দিনে শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। আর আবাসিকের চাহিদা মেটাতে এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করা হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে গ্যাস সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান, ২০১৭-এর খসড়া উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই খসড়ায় এ বিষয়গুলো উল্লিখিত হয়।