শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

চাল দেবে থাইল্যান্ড পিয়াজ মিসর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতি বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে থাইল্যান্ড। অন্যদিকে পিয়াজের দাম বাড়ায় মিসর থেকে পণ্যটি আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। চাল আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) দ্বিতীয় দিনের সভায় এ চুক্তি সই হয়। আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থাইল্যান্ড থেকে এ চাল আমদানি করতে পারবে। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং থাইল্যান্ডের পক্ষে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী আপিয়ার্দি থানথ্রাপম। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদনে সক্ষম। কিন্তু দেশে চাহিদা ২ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টন। বাকি চাল রপ্তানি শুরু করেছিলাম। কিন্তু এ বছর বন্যায় আমাদের ধান উৎপাদন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছু চাল আমদানি করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করেছি। এবার থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির চুক্তি করলাম।

মিসর থেকে পিয়াজ আমদানি : গতকাল সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা মিসর থেকে পিয়াজ আমদানি করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। পিয়াজবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে। আমি দ্রুত এসব পিয়াজ খালাসের ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পিয়াজ, রসুন, আদা, গরম মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যালোচনা নিয়ে ওই বৈঠকের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে ও বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে উভয় দেশেই পিয়াজ উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতে ক্ষতি হওয়ায় তারা পিয়াজের দাম বাড়িয়েছে। ফলে আমাদের বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। এর বিকল্প হিসেবে আমরা মিসর ও পাকিস্তান থেকে পিয়াজ আমদানি করতে এলসি খুলেছি।

সর্বশেষ খবর