আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে ৫টি মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। বৈধ কাজগপত্র দেখাতে না পারায় প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণালঙ্কার ও হীরা আটকের ঘটনায় এই মামলাগুলো করা হয়েছে। আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। গতকাল গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। সংস্থাটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার এনে এর অর্থ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের সঠিক পরিমাণ তারা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করেননি।
বনানীর হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীন আপন জুয়েলার্সের ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে গত জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা।সংস্থাটির দাবি, মজুদ এসব সোনা-গহনার বৈধতার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স। তাই এনবিআরের নির্দেশনায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছে।
এর আগে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদ করার অভিযোগে শুল্ক আইনে দায়ের করা পাঁচটি মামলার বিচার চলছে ঢাকা কাস্টম হাউসে। এ ছাড়া স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। পাশাপাশি চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি, মানিলন্ডারিং, ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য দুদক আইনে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।