তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বার বার তাগাদার পরও প্রতিনিধির নাম না দেওয়া মালিক পক্ষকে বাদ দিয়ে ওয়েজ বোর্ড গঠন করলে তা সাংবাদিকদের উপকারে আসবে না। ওয়েজ বোর্ডে সরকার মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে। মালিক প্রতিনিধি ছাড়া একতরফা ওয়েজ বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত কঠিন হবে। গতকাল বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তথ্য অধিদফতরের সামনে ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বেতারের মহাপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মজুরি বোর্ড গঠনের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। মালিকদের প্রতিনিধি আমরা পাইনি, আমরা মালিকদের তাগাদা দিচ্ছি প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে দেনদরবার চলছে এবং অনুরোধ করছি আপনারা অবিলম্বে প্রতিনিধি দেবেন, আমরা ওয়েজ বোর্ড গঠন করব। তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিএফইউজে, ডিইউজে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এবং সরকারের সঙ্গে, সব শেষে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে যে, এই রকম একতরফা ওয়েজ বোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা উপকার পাবেন, কি পাবেন না।
ইনু বলেন, রাজনৈতিক উত্থান-পতনের কারণে পাঁচ বছর অন্তর ওয়েজ বোর্ড দেওয়া অতীতে সম্ভব হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়েজ বোর্ড দিতে সক্ষম হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৫ বছর পূর্তি হবে। ৫ বছর পর যাতে গণমাধ্যমের কর্মীরা নবম ওয়েজ বোর্ডের সুযোগ পান এর সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হবে। ওয়েজ বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে কোনো লুকোছাপার অবস্থান নেই। সাংবাদিক ও কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মত এক, আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ নই, শত্রুও নই। তথ্য মন্ত্রণালয় ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় ওয়েজ বোর্ডের বিরুদ্ধে এ কথাটা সঠিক নয়। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা ওয়েজ বোর্ডের অধীনে নন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছি, কীভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের আওতায় আনা যায় সে ব্যাপারে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে।
