ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে হলের ১১ শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে হল প্রশাসন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে অভিযুক্তদের পুলিশে দেওয়া হয়। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে তাদের পুলিশে দেওয়া হয় বলে জানান হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের আসিফ হোসেন, ইসলামের ইতিহাসের রিয়াজ উদ্দিন, মনোবিজ্ঞানের আজিম উদ্দিন, ইসলামিক স্টাডিজের মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মোকছেদুল আলম, এহসান আহমেদ, সমাজবিজ্ঞানের শাহিনুজ্জামান, ট্যুরিজমের ওবাইদুল হক ভুঁইয়া, পালি অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজের মনির হোসেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের জি এম আরাফাত ইসলাম, দর্শনের জি এম বায়েজিদ ইসলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, আমি শুনেছি জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার ছেঁড়ায় কয়েকজনকে পুলিশে দিয়েছে হল প্রশাসন। তাদের ব্যাপারে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। দরকার হলে মামলাও করা হতে পারে।

এদিকে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে আটককৃতদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে একাডেমিক শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলেও জানান বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিউল আলম ভুঁইয়া।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১১ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।

ছাত্রলীগ নেতার রুম থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার : গত রবিবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ৭০০৯ নম্বর কক্ষ হতে চারটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে হল প্রশাসন। হল সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র উদ্ধার হওয়া কক্ষটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আরিফ শেখের। হলের আবাসিক শিক্ষকরা ওই কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে একটি বক্স দেখে সন্দেহ হয় এবং তল্লাশি চালালে তার মধ্যে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করেন হলের আবাসিক শিক্ষকরা।