শিরোনাম
বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই

—— আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার অবকাশ নেই উল্লেখ করে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, ৫০ এবং ৬০ এর দশকে এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার অনেক জাতীয়তাবাদী নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না’—বঙ্গবন্ধুর এমন বক্তব্য অনেকে পছন্দ করেনি। কারণ তিনি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বলেননি। বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছিলেন। এ জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয়েছে। যে শক্তি সে সময় জাতীয়তাবাদী নেতাদের হত্যা করেছিল বা হত্যার ইন্ধন যুগিয়েছিল সে শক্তি এখনো সক্রিয় আছে। গতকাল বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর বন ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন এবং বিশ্বাস করতেন। এ জন্য তাকে মূল্য দিতে হয়েছে। আমাদের হতাশ হলে চলবে না। তিনি আমাদের জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি করে গিয়েছেন তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে তিনি মানুষকে খুশি করতে পারেননি। কিন্তু নিজেও তিনি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদামতো বেতন দিতে পারেননি বলে বঙ্গবন্ধু নিজে প্রতি মাসে এক টাকা করে বেতন নিয়েছেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভালোবাসার প্রতীক। দলের নেতা-কর্মীদের তিনি সত্যিকার স্নেহ করতেন। যারা বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসেন তারা শুধু ১৫ আগস্ট নয়, সারা বছরই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবেন। গণতন্ত্রকে ‘স্টেট অব মাইন্ড’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ইতিহাস বিকৃতির কারণে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানে না। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইকে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রইছ উল আলম মণ্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন—যার প্রমাণ পাওয়া যায় ৭ মার্চের ভাষণে। এই ভাষণ সারাবিশ্বে বিশেষভাবে সমাদৃত এবং মূল্যায়িত হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদির এনডিসি, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপক কান্তি পাল, বন কর্মকর্তা হোসনে আরা এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভাশেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সর্বশেষ খবর