সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুবি উপাচার্যকে কার্যালয়ে প্রবেশে শিক্ষকদের বাধা : আইনি নোটিস

কুমিল্লা প্রতিনিধি

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহবুবুল হক ভূঁইয়াকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় তাকে বাধা দেয় শিক্ষক নেতারা। এদিকে ওই শিক্ষকের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে উপাচার্যকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যাহারের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে জানাতে বলা হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা লাগাতারভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়।

জানা যায়, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই মাহবুবুল হক ভূঁইয়াকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূটি পালন শুরু করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এর ২ ঘণ্টা পর উপাচার্য তার কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় তাকে বাধা দেয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতি। তখন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। পরে উপাচার্য ও শিক্ষক নেতারা দিনভর প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় করিডোরে অবস্থান করেন। দিনভর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। প্রায় ১ ঘণ্টা আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি ইতিবাচক কিছু হবে।’

অপরদিকে ওই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রত্যাহারে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যকে ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আইনি নোটিস করেছে মাহবুবুল হকের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আইনি নোটিসের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এই নোটিস আমি এখনো পাইনি।’

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. আইনুল হক বলেন, ‘আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে আমাদের আন্দোলন চলবে।’

সর্বশেষ খবর