বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস আজ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী দিনাজপুরের সেই ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস আজ।  ১৯৯৫ সালে পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ইয়াসমিনের ধর্ষণ ও হত্যার বিচার হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দোষী তিন পুলিশের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

  ইয়াসমিন ট্র্যাজেডির আজ ২২তম বার্ষিকী। এ দিনে দেশব্যাপী পালিত হয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে।

প্রতি বছর দিনাজপুরে সর্বদলীয়ভাবে দিবসটিকে পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৪ আগস্ট দিনাজপুর শহরের প্রতিটি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ ও শোক র‌্যালি। দিবসটি পালনে সম্মিলিত নারী সমাজ, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

নিহত ইয়াসমিনের মা শরীফা বেগম ২৪ আগস্ট তার বাড়িতে ফকির, মিসকিনদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও দোয়া খায়েরের আয়োজন করেছেন।

উল্লেখ্য, আজ থেকে ২২ বছর পূর্বে ১৯৯৫ সালের এ দিনে দিনাজপুরে একদল বিপথগামী পুলিশের হাতে তরুণী ইয়াসমিন নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। এ বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। প্রতিবাদী মানুষকে লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সাতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।

ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তিনটি আদালতে ১২৩ দিন বিচার কাজ শেষে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মতিন মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আসামি পুলিশের এএসআই মঈনুল, কনস্টেবল আবদুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান চালক অমৃত লাল বর্ম্মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন। আলামত নষ্ট, সত্য গোপন ও অসহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এএসআই মঈনুলকে আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

চাঞ্চল্যকর ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় আট বছর পর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

সর্বশেষ খবর