নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শাসকগোষ্ঠী বিচার বিভাগকে গিলে ফেলছে। কারণ শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থা থাকলে গুম প্রতিরোধে এক ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। এটি মনে করে সরকার বিচার বিভাগের সঙ্গে এমন করছে। এদেশে শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল নেই। মানুষের অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগ। তিনি বলেন, এই সমাজে ভালো মানুষের স্বপ্ন দেখা নিষেধ। খারাপ মানুষ লুটপাট করবে সেটিই শাসকগোষ্ঠীর কাছে প্রিয়। কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, সত্যের ঝাণ্ডা একদিন উড়বেই। আমরা সুসংহত বিচার ব্যবস্থা দেখতে চাই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘দেশের অব্যাহত গুম-অপহরণ : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশের পরিবর্তন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিচারকদের একের পর এক রায় দিতে হবে। আমলা দিয়ে দেশে কখনো পরিবর্তন হয়নি। পরিবর্তন হয়েছে রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মী দ্বারা। কিন্তু বর্তমানে দেশের রাজনীতিবিদ দিয়ে পরিবর্তন আশা করা যায় না। তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে। এটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। রাষ্ট্রীয় মদদে হত্যা-ধর্ষণ এক ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ। যে ট্রাইব্যুনালে ’৭১-র মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে, একই ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। এর জন্যও বিচারকদের একটি রায় দেওয়া উচিত। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের নাম নেওয়াতে প্রধান বিচারপতির অনেক সমালোচনা করছেন শাসক গোষ্ঠী।
কিন্তু ’৭১-র পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাকিস্তানে সফর করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তখন তো কোনো সমালোচনা হয়নি? আর জিয়াউর রহমানের সময় সুপ্রিম জুডিসিয়ারি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে বলে খারাপ হয়ে গেছে।অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, আইন ও শালিস কেন্দ্রের সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন।