বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে জাতীয় কবিকে স্মরণ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে জাতীয় কবিকে স্মরণ

প্রেম, দ্রোহ ও চেতনার কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষ ও মানবতাই ছিল তার কবিতার বিষয়। সব অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে কবি ছিলেন সোচ্চার প্রতিবাদী। রবিবার ছিল কবির ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। কথামালা, গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে কবিকে স্মরণ করেছে শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে মুখ্য আলোচক ছিলেন লেখক ও গবেষক আহমদ রফিক। আহমদ রফিক বলেন, একজন প্রতিভাবান মানুষের মধ্যে বিচিত্র সত্তা বিরাজ করে। নজরুল তেমনই একজন। তার জীবনের তিনটি পর্ব যদি বিশ্লেষণ করতে যাই, তাহলে প্রথমভাগে তিনি জাতীয়তাবাদী, দ্বিতীয়ত্ব তিনি বিপ্লববাদী এবং তৃতীয়ত তিনি সাম্যবাদী। আলোচনা পরবর্তী সাংস্কৃতিক পর্বে মেঘের ডম্বুর ঘন বাজে ও  আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন এবং মধুকর মন্দির বাজে গানের কথায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। এ ছাড়াও সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুদল ও ঢাকা সাংস্কৃতিক দল।

একক সংগীত পরিবেশন করেন শারমীন সাথী ইসলাম, ইয়াকুব আলী খান, সুজিত মোস্তাফা, খালিদ হোসেন, শামীমা পারভীন শিমু এবং গজল ও শ্যামা সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শাহীন সামাদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন গোলাম সারোয়ার এবং লায়লা আফরোজ।

নির্মিত হলো ‘নির্বাসিত নায়ক : রবীন্দ্র গবেষক ও লেখক আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম নিয়ে তারই প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নির্বাসিত নায়ক’ অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘নির্বাসিত নায়ক’ নির্মাণ করেছে জাঁ-নেসার ওসমান। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে আহমদ রফিকের কর্মজীবনের চেয়ে তার সাহিত্য ও  গবেষণার অধ্যায়টি বেশি উঠে এসেছে। গতকাল সকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার-শো অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রামাণ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার-শো’র আয়োজন করে কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হায়দার আকবর খান রণো। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হায়দার আকবর খান রণো বলেন, আহমদ রফিক আজীবন রাজনীতি ও সমাজ সচেতন মানুষ। প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা জাঁ-নেসার ওসমান বলেন, আহমদ রফিকের মতো ব্যক্তিত্বকে সাধারণের কাতারে নিলে চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই নিতে হতো। আহমদ রফিক বলেন, লেখালেখির জীবনে কোনোদিন আমি অর্থবিত্তের পেছনে ছুটিনি। সম্মাননা, স্বীকৃতির প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ নেই। আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হলো। নিঃসন্দেহে এটি এক বিশেষ প্রাপ্তি। অনুষ্ঠানে আহমদ রফিককে নিয়ে আলোচনা করেন লেখক আন্দালিব রাশদী ও প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাণ উপদেষ্টা ফরিদুর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর