বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছাত্রী ও স্বজনদের পিটিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার এক ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণ করলেন কলেজছাত্রীকে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখমও করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি কাউকে জানালে এলাকাছাড়া করে দেবেন বলেও হুমকি দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম রাজীব। তিনি সিংহশ্রী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ভিটিপাড়া আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। আর এ ঘটনায় ধর্ষিতা কলেজছাত্রী থানায় মামলা করতে এলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা এন্ট্রি করে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল ওই ছাত্রীর পরিবারকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে।

তবে থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তাড়িয়ে দেব কেন। আমাদের কাজই তো মামলা নেওয়া। তবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা নিয়েছি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্রীপুরের বরমী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে (১৯) হাইলজোর ডিগ্রি কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাস করা মো. রাজিব গত শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এলে রাজিব দৌড়ে পালিয়ে যান। পরের দিন শনিবার সকালে ওই কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি রাজিবের বাবা-মার কাছে জানালে তারা ওই ছাত্রী ও পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারপিট ও অকথ্য গালিগালাজ করেন।

এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তানিয়ার পরিবারকে এলাকাছাড়া করা হবে বলে রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন হুমকি দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে তানিয়া বাদী হয়ে রাজিব, তার বাবা সিরাজউদ্দিন এবং মা রেহেনা বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল সকালে তানিয়াকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহেমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ শেখ বলেন, রাজীব নামের কেউ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে নেই।

সর্বশেষ খবর