বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছয় দিন পর গতি হলো প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী সেলিমের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ছয় দিন পর মালয়েশিয়া-প্রবাসীর লাশের গতি হলো। বাড়ির আঙিনায় দীর্ঘ সময় লাশ থাকার পর গতকাল পুনঃ ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মৃতের মেয়ে শিল্পী বেগম (৩০) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আদালতে বাবার লাশের ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। এরপর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। গতকাল দুপুরেই লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানিয়েছেন, সুরতহালে মালয়েশিয়া থেকে হেলেন মিয়া ওরফে সেলিম মিয়ার শারীরিক চিকিৎসার আলামত পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা পরিষ্কার হওয়া যাবে।

সরাইল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, দুপুরে তিনি সরেজমিন টিঘর গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় চিকিৎসার যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। ৩১ আগস্ট মালয়েশিয়ায় সেলিমের মৃত্যু হয়। ৮ সেপ্টেম্বর তার লাশ গ্রামের বাড়ি আসে। তার স্বজনরা লাশ দাফনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। লাশের গোসল, কাফন ও কবর খোঁড়া হয়। এর পরও টানা ছয় দিন ধরে লাশ মাটির ওপর রাখা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের টিঘর গ্রামে সৃষ্ট এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণকারী প্রবাসী সেলিম মিয়ার তিন ছেলে, এক মেয়ে।

তারা ছয় দিন অপেক্ষার পর গতকাল আদালতে পুনঃ ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। মৃতের স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, তার স্বামী নয় বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছিলেন। ৩১ আগস্ট সেখানে তার মৃত্যু হয়। ৮ সেপ্টেম্বর লাশ গ্রামের বাড়ি এলে স্বজনরা লাশ দাফনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ সময় মালয়েশিয়া থেকে তার প্রতিবেশী করম আলী লাশ দাফনের আগে বিদেশ থেকে লাশ পরিবহন খাতে খরচ হওয়া ৩ লাখ টাকা প্রদান করতে বলেন। এতে বিপাকে পড়েন তারা। এ বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় লাশ দাফন করা যায়নি।

সর্বশেষ খবর