রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মৌলভীবাজারে পৌর কাউন্সিলরের ওপর হামলা, মামলা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের হামলায় শুক্রবার রাতে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীর ওপর হামলায় মৌলভীবাজার থানায় মামলা হয়েছে। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমনকে প্রধান আসামি করে আহত স্বাগত দাস চৌধুরীর স্ত্রী জোনাকী দেবী বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় গতকাল সকালে মামলাটি  করেন (মামলা নম্বর-২২/১৭)। এতে আসামি করা হয়েছে আরও ১০ জনকে। হামলার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে স্বাগত কিশোর দাসের বাসায় একদল দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় স্বাগত কিশোর দাসসহ পরিবারের কয়েকজন আহত হন। তাত্ক্ষণিক আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাগত কিশোরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দায়ের কোপ রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমনের সঙ্গে কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাসের ব্যবসা-সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মামলার ২ নম্বর বিবাদী কয়েকজন লোক নিয়ে স্বাগত দাসের বাড়িতে গিয়ে উনাকে খোঁজেন। এ সময় উনাকে না পেয়ে কাউন্সিলর স্বাগতের ভাইয়ের স্ত্রী তন্নী সাহাকে বলেন “ওকে কুপাইয়া বস্তায় ভরিয়া নদীতে ফালাইমু”। এজাহারে উল্লেখ করেন, পরের দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমনের নেতৃত্বে ১৫-১৮ জনের একটি দল লোহার জিআই পাইপ, রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে স্বাগত দাসের কাশিনাথ রোডের বাসায় অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা কাউন্সিলরকে হত্যার উদ্দেশে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাদের আঘাতে হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখম হন। চিৎকার শুনে মামলার বাদী জোনাকী দেবসহ পরিবারের লোকেরা এগিয়ে এলে বাদী, বাদীর জা তন্নী সাহা ও দেবর সৌমিত্র কিশোর হামলাকারীদের হাতে আহত হন।

স্বাগত কিশোর দাস বলেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমন আমাকে হত্যা করার জন্য এ হামলা চালায়। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমন ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, উনার সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক কোনো লেনদেন নেই। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতারা ওই ঘটনা আমার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল আহমদ মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর থেকে এলাকায় আমাদের টহল পুলিশ রয়েছে এবং হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর