সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের কারণে ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার আগামী ১৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এ বিষয়ে আদালতের পেশকার তানভীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে আসামি শাফাত আহমেদ, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর জন্য জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে দেন। এর আগে মামলার পাঁচ আসামি আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ই-মেকার্সের কর্মকর্তা আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি শাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেফতারের পর আসামি বিল্লাল ছাড়া বাকি চারজনই নিজেদের দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। ঘটনা তদন্ত করে ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে আসামিরা মামলার বাদী ও তার বান্ধবী এবং বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার পর বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে কক্ষে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে আসামি শাফাত আহমেদ ও বাদীর বান্ধবীকে আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন এবং বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর