মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আজ এস এম সুলতানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

নড়াইল প্রতিনিধি

বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের আজ ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর তিনি যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইল কুড়িগ্রামের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে শায়িত করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পীর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, জিয়ারত, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা। সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, শিল্পীর ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এস এম সুলতান নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবার নাম মেছের আলী, মা মাজু বিবি। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘষামাজার মধ্য দিয়ে ছোটবেলার লাল মিয়ার (সুলতান) চিত্রাঙ্কনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়। শিল্পী সুলতান শিশু-কিশোরদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি চারুকলা শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই নড়াইলে ‘দি ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে স্থপন করেন ‘শিশুস্বর্গ’। তিনি তার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ১৯৯২ সালে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট দোতলা নৌকা (ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ) নির্মাণ করেন। সুলতানের শিল্পকর্ম ছিল বাংলার কিষান-কিষানি, জেলে, তাঁতি, কামার,-কুমার, মাঠ, নদী, হাওর-বাঁওড়, জঙ্গল, সবুজ প্রান্তর ইত্যাদি। চিত্রাঙ্কনের পাশাপাশি বাঁশি বাজাতে পারতেন তিনি। পুষতেন সাপ, বেজি, বানর, খরগোশ, মদনটাক, ভল্লুক, ময়না, গিনিপিগ, মুনিয়া, ষাঁড়সহ বিভিন্ন পশু-পাখি।

চিত্রাপারের লাল মিয়া শিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে পেয়েছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ ও এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার। এ ছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে পদক ও ’৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি এবং ’৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান।

সর্বশেষ খবর