সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাবির জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি দিবস পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হলো জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে এই হলের টিভি কক্ষের ছাদ ধসে ৪০ ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি নিহত হন। আহত হন আরও তিন শতাধিক। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এ দিবসটি পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে গতকাল দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র‌্যালি সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন।পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভি কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা, নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন এবং বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সব হল মসজিদে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সকালে হয় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচি। সন্ধ্যায় হল উপাসনালয়ে ভক্তিমূলক গান, শোক সংগীত ও কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। এ ছাড়াও পুরো অক্টোবর মাসজুড়ে হবে ‘অক্টোবর স্মৃতি রচনা প্রতিযোগিতা’ ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ‘অক্টোবর স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’।

অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ইতিমধ্যেই অনেকগুলো অপসারণ করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মতো আর কোনো ঘটনা যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না ঘটে এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, আমরা চাই না কোনোভাবেই এ ধরনের ঘটনা ঘটুক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর