সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘোষণা দিয়ে নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের আত্মহত্যা!

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ায় কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে ইমন ও নিশাত নামে দুই স্কুলছাত্র। রবিবার দুপুরে সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইমন (১৩) তাজপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আমিন হোসেন ও নিশাত (১৩) চৌগ্রাম ইউনিয়নের হুলহুলিয়া গ্রামের মৃত বকুল প্রাং এর ছেলে। দুজনই সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ নিহত ইমনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অপরজন নিশাতের লাশ বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান তৌফিক পরশ জানান, ইমন ও নিশাত হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। ইমনের রোল ৩০ ও নিশাতের রোল ২৬। সকালে দুজন স্কুলে আসে। এসে তাদের সহপাঠীদের জানায় আজ আমরা দুজন সুইসাইড করব, দুজনের আজ শেষ দিন এসব বলে বেরিয়ে পড়ে। তারপর যথারীতি স্কুল চলাকালীন খবর আসে স্থানীয় হুলহুলিয়া প্রামাণিকপাড়া এলাকায় একটি পুকুর পাড়ে তারা দুজনই কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি পুকুর ধারে দুজন পড়ে আছে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের সিংড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং নিশাতকে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

পরে সেখানে নিশাতেরও মৃত্যু হয়। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইমন তার খালার বাসায় থেকে সে হুলহুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। এর আগে সে সিংড়া পৌর শহরের দমদমা পাইলট স্কুল ও কলেজ এবং নিংগইন জোড়মল্লিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। আর নিশাত হুলহুলিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা দুজন বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল। নিয়মিত স্কুলে যেত। তবে নিশাত একটু বখাটে স্বভাবের ছিল। তাদের কারও কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা রহস্যজনক। সিংড়া থানার ওসি (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম জানান, ইমনের লাশটির সুরতহালের ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর