বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তি চাকরিতে আছেন কীভাবে : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনে ২৮ শিশুর প্রাণহানির ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার দায়ে ঔষধ প্রশাসন থেকে বরখাস্ত হওয়া এক কর্মকর্তা কীভাবে চাকরিতে আছেন তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি  সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল  মোরসেদ বলেন, রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ  সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার দায়ে ঔষধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে আদালতের নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

দুই কর্মকর্তার মধ্যে ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম তথ্য গোপন করে বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদন করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে। এর মধ্যে তিনি কাজও শুরু করেছেন। বিষয়টি জানার পর আদালতে এই আবেদন করা হয়। হাই কোর্ট তার কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত করেছে। এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়ার পর শফিকুল ইসলাম আবার কীভাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বা কীভাবে কাজ করছেন এক সপ্তাহের মধ্যে সে বিষয়ে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

২০০৯ সালে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ  খেয়ে সারা দেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ

প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার বিচার শেষে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পাঁচজনকে খালাস দেয় বিচারিক আদালত। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩, ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিষয়টি উচ্চ আদালতে এলে ২৪ আগস্ট ওই দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে আদালতে জানান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর