মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

গাইডলাইন না থাকায় এনআরবিসি ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে

—এস এম পারভেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের নতুন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তিন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শহিদ ইসলাম ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আদনান ইমাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এনআরবিসি ব্যাংক গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন না থাকায় ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে।

এনআরবিসি ব্যাংক নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। যা আছে তা প্রচলিত ব্যাংকের গাইডলাইন। আমরা এনআরবিসি ব্যাংকের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সমস্যা সমাধানে কাজ করব।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক নিয়ে যে সমস্যা ধরেছে, তা আমাদের নজরে আসেনি। পর্ষদ সদস্য হয়েও তা জানতে পারিনি। এখন জেনে বিষয়গুলোর সমাধান করা হবে। আমাদের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা কোনো দ্বন্দ্ব চাই না। এমডি হাই কোর্টে রিট করেছেন। কপি পাওয়ার পর পর্ষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া ব্যাংকে যেসব অনিয়ম হয়েছে তা এমডি পর্ষদে কখনো উপস্থাপন করেননি। আমরা বোর্ডের সবাই দেশের বাইরে প্রতিষ্ঠিত। এখান থেকে কোনো বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কিছু নেই।’

রবিবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি পর্ষদ সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে পরিবর্তন আনা হয়। এ ছাড়া ব্যাংকটির সব কমিটির চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেছেন। ওই সভায় প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ফরাছত আলীকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে ২০১৬ সালে এনআরবিসির ৭০১ কোটি টাকা ঋণে গুরুতর অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। চলতি বছরের ২০ মার্চ ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও এমডির কাছে পাঠানো পৃথক নোটিসে বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংক চালাতে ব্যর্থতার দায়ে অভিযুক্ত করে ফরাছত আলীর নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদকে। এমনকি গুরুতর প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ করা হয় ব্যাংকটির এমডি দেওয়ান মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে; যা ফৌজদারি আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে অপসারণ করে নোটিস দেয়। পরে আদালতের নির্দেশ ওই অপসারণ স্থগিত করা হয়।

সর্বশেষ খবর