রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘ধর্ষিত শিশুটিকে হত্যার পর বস্তায় ভরে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়’

নাটোর প্রতিনিধি

শিশু খাদিজাকে ধর্ষণ করে হত্যার পর বস্তায় ভরে দিঘির পানিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। আলামত দেখে তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে সাত বছরের খাদিজাকে নিখোঁজের তিন দিন পর বাড়ির পাশের দিঘি থেকে গত শুক্রবার বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নাজমা বেগম (৩৫), নাজমুল হোসেন (২২), মোশাররফ হোসেন বাদলা (৪৫), শহিদুল ইসলাম (৩৬), দেলোয়ার হোসেন (৪০), নজরুল ইসলামকে (৩৮) অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির বাবা মধু। পুলিশ নজরুল ও নাজমা বেগম ওরফে নাজু এবং নাজমার স্বামী মোশাররফ হোসেন বাদলাকে আটকও করেছে। তবে মামলার মূল আসামি নাজমা বেগমের ছেলে নাজমুলকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলসা গ্রামের ওই শিশু বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নিখোঁজ হয়। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে তাদের বাড়ির পেছনের দিঘিতে একটি বস্তা ভেসে থাকতে দেখেন প্রতিবেশী কিবরিয়া।

এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, আটক নাজমা বেগমের ছেলে ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন বুধবার ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। ওই দিনই শিশুটি নিখোঁজ হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানান, ওই দিন বিকালে নাজমুলকে শিশুটির সঙ্গে কথা বলতে দেখেন তিনি। নিহত শিশুর পিতা মনিরুল ইসলাম ওরফে মধু জানান, নাজমুল তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। নাজমুলের মা নাজু ও তার বাবা বাদলার সহযোগিতায় বস্তাবন্দী করে দিঘির পানিতে ভাসিয়ে দেয়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন জানান, আপাতদৃষ্টিতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে ধর্ষণ করে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাস জানান, নিখোঁজের তিন দিন পর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা করে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

 

 

সর্বশেষ খবর