কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, আউশ ধানের উত্পাদন বাড়াতে দেশের দুই লাখ ৩৭ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে ৪০ কোটি টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেবে সরকার। এই প্রণোদনার ফলে দুই লাখ ৩৭ হাজার ১৮২ বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষ করা যাবে। বুধবার থেকেই আউশে প্রণোদনা দেওয়া শুরু হবে। এ সংক্রান্ত সরকারের কমিটি সুবিধাভোগী কৃষকদের তালিকা চূড়ান্ত করবে।

কেউ একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আউশে প্রণোদনা কর্মসূচির কথা জানান তিনি।

মতিয়া চৌধুরী জানান, উফশী ধানের ক্ষেত্রে এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা দেওয়া হবে। এতে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে এক হাজার ৫৯৭ টাকা ৫০ পয়সা।

নেরিকা আউশ ধান চাষে একজন কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য পাঁচ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার এবং সেচ খরচ বাবদ ৫০০ টাকা ও আগাছা দমনের জন্য আরও ৫০০ টাকা পাবেন। এতে বিঘাপ্রতি ব্যয় হবে দুই হাজার ১১৫ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী জানান, আউশে প্রণোদনার ফলে ৮২ হাজার ৫৭৪ মেট্রিক টন ধান এবং এক লাখ ২৪ হাজার ৬৯৯ টন খড় উত্পাদন হবে। এতে আয় হবে ৩৪২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এক টাকা খরচ করে ৮ দশমিক ৬৫ টাকা আয় হবে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৫৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬২ টাকা কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা সহায়তা দিয়েছে।

কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, এখন মাঠে বোরো ধান আছে, বোরো কাটার সঙ্গে সঙ্গে যেন কৃষকরা আউশ চাষ করতে পারে সেজন্য আগেই এই প্রণোদনা কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান, চলতি  মৌসুমে এক কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।