রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের মানিকভাণ্ডার গ্রামে মাকে বেঁধে রেখে যুবতী মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ধর্ষণের শিকার যুবতীকে (২৩) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার মানিকভাণ্ডার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ দাবি করেছে, এখানে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণের শিকার যুবতীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মানিকভাণ্ডার গ্রামের এক যুবতীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের মিজান মিয়া ও ফজুল হক নামে দুই লম্পট। এ ছাড়াও বেশ কয়েকবার তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। গতকাল ভোর রাতে মিজান ও ফজুল হকসহ বেশ কয়েকজন জোরপূর্বক ওই যুবতীর ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ওই মেয়েকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তার চিৎকার শোনে মা এগিয়ে এলে লম্পটরা মাকে বেধড়ক মারধর করে এবং হাত-পা বেঁধে রুমে আটকে রাখে। এ সময় ওই লম্পটরা যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়। বর্তমানে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তাদের মধ্যে পারিবারিক ও জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। হামলায় মা-মেয়ে দুজনই আহত হয়েছেন। এদিকে পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তার দেবাশীষ দাস জানান, তার পরিবারের দাবি ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা মেডিকেল টিম গঠন করে তার পরীক্ষা করব। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমিরুজ্জামান জানান, তারা একে অপরের আত্মীয়। তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মারপিট করা হয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ খবর