সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
মনিটরিং কমিটির সভা

সিডিএ ও চসিককে দুষলেন গণপূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা ও অবৈধ বহুতল ভবন বা প্ল্যানের বাইরে অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) দুষলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সমস্যা ও জনগণের কষ্ট ‘জলাবদ্ধতা’ সহনীয় পর্যায়ে আনার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কোনো ধরনের নোটিস ছাড়াই সিডিএ প্ল্যানের বাইরে অবৈধ বহুতল ভবন ও স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য বললেন মন্ত্রী। গতকাল সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্র্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। গৃহায়ণ মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুম আসতে আরও দুই-তিন মাস সময় আছে। এ সময়ের মধ্যেই ১০টি হোক, ১৬টি হোক নগরীর যেসব খাল রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে উদ্ধার করতে হবে। শুরুতেই পুনঃখনন, এরপরেই খনন কাজ করতে হবে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে পূর্তমন্ত্রী বলেন, ৩৬টি খালের মধ্যে এ মৌসুমে ১৬টি খালের ডিজাইন দেখে কনসালটেন্ট প্রকল্পের কাজে হাত দেবেন।

ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে বলে একনেক থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়েছি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে এ প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি।

প্রকল্প বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র নেওয়া এ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), বন্দর, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সহযোগিতা প্রয়োজন। চট্টগ্রামের মানুষের দুঃখ লাঘবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরর সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একেএম সামশুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন, চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান রহমান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর