সৌদি আরবের জেদ্দায় তিন দিনের ওআইসির সদস্য দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত রবিবার থেকে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা অব্যাহত থাকায় কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানা যায়নি। এ ছাড়াও বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় বর্তমান মুসলিম বিশ্বের ফিলিস্তিন সমস্যা, মুসলিম দেশগুলোর সংঘর্ষ, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই, আঞ্চলিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ, মানবিক বিষয়, মধ্যস্থতা ও ইসলামোফোবিয়ার বিষয় স্থান পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই বৈঠকের সুপারিশসমূহ পরবর্তীতে বাংলাদেশে আগামী ৫-৬ মে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম অধিবেশনে বিবেচনার জন্য নেওয়া হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক। এ ছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার সচিব কামরুল আহসান ও মহাপরিচালক গাউসুল আজম সরকার উপস্থিত ছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই বৈঠকে আরও যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. এমডি নজরুল ইসলাম।পররাষ্ট্র সচিব তার বক্তৃতায় মুসলিম বিশ্বের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ইসলামিক মূল্যবোধের ওপর জোর দেন। তিনি আশা করেন, ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামী মূল্যবোধ বিষয়ের থিম অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই প্রাসঙ্গিক।