বগুড়ায় ‘ধর্ষক’ ভগ্নিপতি তুফান সরকারকে বাঁচাতে মাসহ এক কিশোরীকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া মামলার আসামি বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব আবদুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব আবদুর রউফ মিয়া ৮ মার্চ রুমকিকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। ১৯ মার্চ তিনি চিঠিটি হাতে পেয়েছেন। তিনি জানান, কাউন্সিলর রুমকি গ্রেফতার হওয়ার পরপরই অন্য এলাকার কাউন্সিলরকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বগুড়ার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সুফিয়া নাজিম জানান, মামলার চার্জশিট গৃহীত হওয়ার পরপরই মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত রুমকিকে বরখাস্তের অফিসিয়াল কোনো চিঠি তিনি পাননি। উপ-সচিব আবদুর রউফ মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুরের জাহিদ হাসানের স্ত্রী ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমকিসহ ১০ জন এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় গত বছর ২৯ জুলাই মামলা হয়। অভিযোগপত্র অনুসারে প্রধান আসামি তুফান সরকার গত বছর ১৭ জুলাই এক কিশোরীকে চকসুত্রাপুরের বাড়িতে তুলে এনে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে রুমকির হুকুমে আসামিরা ২৮ জুলাই ওই কিশোরী ও তার মাকে অপহরণ করে বাসায় নিয়ে আসে। রুমকি ও অন্যরা মা ও মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। মারপিট করে দুজনকে জখম করে। তদন্ত শেষে প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে গত ৯ অক্টোবর দ্বিতীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০ ডিসেম্বর তা গৃহীত হয়।
