মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনের আগে ‘বন্দীমুক্তি’ আন্দোলন : নোমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নির্বাচনের আগে ‘বন্দীমুক্তি আন্দোলনের’ মাধ্যমে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীদের কারামুক্ত করা হবে। এরপর চলতি বছরের শেষে দেশে জাতীয় নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব। নির্বাচনী প্রস্তুতি ও আন্দোলন একসঙ্গেই চলবে। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবদুল্লাহ আল নোমান এ কথা বলেন।

 বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ছয় বছর এবং তার সন্ধানের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধান সংশোধন করার ফলে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিও হয়নি। তাই আমাদের নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করে নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বা দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েন চাই। এটা আজ শুধু বিএনপির নয়, জাতীয় দাবি।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বর্তমান সরকারের আচরণ ও নির্যাতনের কারণে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা আর পেছনে যেতে পারব না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সম্পর্কে নোমান বলেন, একটি  দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত তিনি। আর এরশাদ আমাদের চেয়ে একটু ভালো জানবেন। কারণ, কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলাদাভাবে মিটিং করেছেন। আর সেই মিটিংয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এরশাদ উপলব্ধি করতে পেয়েছেন, হাসিনা অনেক দুর্বল হয়ে গেছেন। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারার শেয়ার নিতে হবে। আর শেয়ারটা এবার যথোপযুক্তভাবেই নেবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন এরশাদ।

সর্বশেষ খবর