শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে মনিটরিং সেল

মোস্তফা কাজল

রমজানে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে মনিটরিং সেল। এ ছাড়া জনস্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত হলে জরিমানা ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হবে। এসব দেখভাল করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতি বছর রমজান এলেই একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। সিন্ডিকেট করে রমজান নির্ভর পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এ কারণে ভোক্তারা বাড়তি খরচ করতে বাধ্য হন। কিন্তু এ বছর অসাধু ব্যবসায়ীদের সে সুযোগ দিতে চায় না সরকার। বর্তমানে রমজান নির্ভর পণ্যের দাম অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো পণ্যেরই দাম বাড়েনি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, এক সপ্তাহ আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। এবার যাতে কোনোভাবেই পণ্যের দাম না বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়েছেন। আর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সিন্ডিকেট না হলে এবার পণ্যের দাম বাড়বে না। তিনি বলেন, রমজানে যাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে, সে জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বিশেষ মনিটরিং সেল কাজ শুরু করবে। এ ছাড়া ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সারা দেশে অভিযান চালানো হবে। যারা জনস্বার্থবিরোধী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভেজাল ও বাড়তি দাম নিলে আর্থিক জরিমানাসহ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছর দেশে রমজান নির্ভর পণ্যের জোগান অনেক বেশি। কোনোভাবেই এবার পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিমত, শুধু বাজার মনিটরিং নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সজাগ থাকতে হবে। যাতে পণ্য আনা-নেওয়ার সময় ব্যবসায়ীদের কাছে কেউ চাঁদাবাজি করতে না পারে। সূত্র জানায়, রমজানে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে দেশের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে রাজধানীর পাইকারি বাজারে অভিযান শুরু হতে পারে। যারা বাড়তি মুনাফা আয়ের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, এবার এপিবিএন সদস্যদের নিয়ে রাজধানীতে প্রতিদিন অভিযান চালানো হতে পারে। এদিকে পণ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ইফতার পার্টির নামে চলে চাঁদাবাজি। এতে ব্যবসায়ীদের প্রচুর অর্থ খেসারত দিতে হয়। বাড়তি এ টাকা তুলতে গিয়ে পণ্যের দাম বেড়ে যায়।

বাজার চিত্র : গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিনি ৫৮ টাকায়, দেশি পিয়াজ ৪০ ও ভারতীয় পিয়াজ ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৮ থেকে ৯০ টাকায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০৮ ও মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও পণ্যগুলো একই দামে বিক্রি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর