মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজধানীতে দুই খুন, দুই শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুটি হত্যাকাণ্ড ও দুই শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে দক্ষিণ বনশ্রী ই ব্লকের চার নম্বর সড়কে ছুরিকাঘাতে জাকির নামে এক যুবককে (২৫) হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ভোরের দিকে পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বিল্লাল হোসেন বেলায়েত নামে এক নিরাপত্তাকর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। এ ছাড়া সকালে রামপুরার ওয়াবদা রোডের একটি মেস থেকে আশিকুজ্জামান পলাশ (২৫) নামে বেসরকারি ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে কামরাঙ্গীচর এলাকার একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শামীম আহমেদ (১৩) নামে অপর এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ষাটোর্ধ্ব বেলায়েত চিরকুমার ছিলেন। তিনি ওয়ারী তিন নম্বর নবাব স্ট্রিটের একটি নির্মাণাধীন ভবনে থাকতেন। রবিবার দিবাগত রাতে ওই ভবনের বেজমেন্ট থেকে বেলায়েতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে তাকে হত্যার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই একটি হত্যা মামলা করেছেন।

বেলায়েতের ভাতিজা নাহিদুল হাসান জানান, বিল্লালের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার বালিয়াধর গ্রামে। তার চাচা সিকিউরিটি কোম্পানির মালিক মোক্তার হোসেনের কাছে ২২ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে তাকে হুমকি দেওয়া হতো। এ টাকার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে।

ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় গতকাল রাতে খিলগাঁও এলাকায় জাকিরকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারী রাহিমা ও জয়সহ কয়েক যুবক। তারা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই যুবকের বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার পকেটে পাওয়া একটি নম্বরে যোগাযোগ করা হলে হেলেনা নামে এক নারী জানান, জাকিরের বাসা গোড়ান এলাকার ৮ নম্বর রোডে।  সে ইন্টারনেটের কাজ করত।

রামপুরা থানার এসআই আকতারুজ্জামান বলেন, সকালে পশ্চিম রামপুরার ২০৪ নম্বর ওয়াবদা রোডের একটি মেস থেকে আশিকুজ্জামানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আশিক কুষ্টিয়ার মিরপুরের জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত ১ মে সে ওই বাসায় ওঠে। পারিবারিক কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। অন্য কারণেও তার মৃত্যু হতে পারে। ঘটনার  তদন্ত চলছে।

শামীমের মামা বিপ্লব বলেন, শামীম শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কৃষক রিপন মিয়ার একমাত্র সন্তান ছিল। শামীম তার মা সিমা আক্তারের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর চৌরাস্তা হাজিরঘাট এলাকায় থাকত। স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। রবিবার রাত ১১টার দিকে শামীম কামরাঙ্গীরচর ঝাউলা হাটি আয়েশা মেম্বারের বাড়ির পাশে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে বাড়িওয়ালার ছেলে আসিফকে খুঁজতে যায়। পরে তাকে নির্মাণাধীন ওই ভবনে আহত অবস্থায় পাই। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর