শিরোনাম
সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

পণ্য পরিবহন খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বিনিয়োগ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানিয়েছে, পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। অপ্রতুল পরিবহন ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে সংগঠনটি এ খাতের উন্নয়নে জিডিপির ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশ লজেস্টিকস কস্ট স্টাডি বা ওয়ারহাউস এবং স্টোরেজ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ক ওয়ার্কশপে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) বাংলাদেশ ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওয়েন্ডি ওয়ারনার। এতে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের পরিচালক সুগাতা সরকার। বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ড. মাশরুর রিয়াজ, ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান, সহসভাপতি কামরুল ইসলাম, পরিচালক খন্দকার রাশেদুল আহসান, ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ফিকি) আহ্বায়ক সৈয়দ সাদাকত হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের অর্থনীতির সার্বিক বিকাশে বেসরকারি খাত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

 চট্টগ্রাম, মোংলা এবং বেনাপল বন্দর ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস চালু করার ফলে কনটেইনার জট কমেছে। আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। যদিও আমদানি বাণিজ্য বেশি হওয়ায় প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লাখ খালি কনটেইনার অন্যান্য দেশে পাঠানো হয়। এর ফলে অনেক সময় বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হয়। তিনি দেশের সমুদ্র, স্থল ও নৌবন্দরগুলোর সংস্কার এবং আধুনিকায়নের জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ কামনা করেন।

ওয়েন্ডি ওয়ারনার বলেন, বাংলাদেশে ওয়ারহাউস নির্মাণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জমি প্রাপ্তি এবং নীতি প্রণয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশে মানসম্মত ওয়ারহাউস নির্মাণ করা সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক ভ্যালু চেইনসমূহ তাদের পণ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশকে ব্যবহার করবে। তিনি পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বন্দরসমূহের সঙ্গে নেটওয়ার্ক আরও সুদৃঢ় করার পরামর্শ দেন।

আবুল কাশেম খান বলেন, দ্রুত সময়ে গ্রাহকদের কাছে গুণগত পণ্য পৌঁছানোর লক্ষ্যে ওয়ারহাউস এবং পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ‘লজেস্টিক পারফরমেন্স ইনডেস্ক’ অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৮৭তম। যেখানে ভারতের অবস্থান ৩৫তম। এমন প্রেক্ষাপটে পণ্য পরিবহন খাতের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেইন এবং আনুষঙ্গিক খাতে বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে ২১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বর্তমানে ব্যবসা পরিচালনায় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ, ওয়ারহাউস ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রভৃতি বিষয়সমূহ সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।

সুগাতা সরকার বলেন, বাংলাদেশে শুধু কৃষি পণ্যে সংরক্ষণে ওয়ারহাউস ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তবে সময়ের পরিক্রমায় কৃষি পণ্য ছাড়াও অন্যান্য পণ্যের সংরক্ষণে ওয়ারহাউস বা স্টোরেজের বিকল্প নেই। এমতাবস্থায় বিদ্যমান নীতির সংস্কার অথবা এখাতের বিকাশের লক্ষ্যে নতুন একটি নীতিমালা প্রণয়ন একান্ত আবশ্যক।

সর্বশেষ খবর