মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঘুষসহ গ্রেফতার

দুজনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষের এক লাখ টাকাসহ গ্রেফতার হওয়া নরসিংদীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান সহকারীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতে এক উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিষয়টি দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন হাসপাতালের প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্যাথলজি সহকারী রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) নরসিংদী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিউল করিম।

২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ওই হাসপাতালের প্রধান সহকারীর নিজ কক্ষ থেকে ওই দুজনকে ঘুষসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা করেন। আর মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম। মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, নরসিংদী জেলা হাসপাতালের কাপড় ধোলাই কাজের বিল উত্তোলন ও পরবর্তী সময়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মেসার্স মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের মালিক নাছির মিয়ার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেছিলেন প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম। তার দাবির ভিত্তিতে আলোচনা করে নাছির মিয়া দুই দফায় প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলামকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। এরপর আরও এক লাখ টাকা ঘুষের জন্য নাছির মিয়াকে চাপ দেন আশরাফুল ইসলাম। এ পরিস্থিতিতে নাসির মিয়া বিষয়টি দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এ জানান। পরে সব আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ঘুষ গ্রহণকারীকে গ্রেফতারের জন্য দুদক একটি বিশেষ টিম গঠন করে। টিমের সদস্যরা নির্ধারিত দিন বেলা ৩টার দিকে ঘুষ গ্রহণের সময় মো. আশরাফুল ইসলাম পাঠানকে ঘুষের এক লাখ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এ সময় ঘুষ গ্রহণে সহযোগিতা ও ঘুষের টাকা লুকানোর চেষ্টার অভিযোগে একই হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেজাউল করিমকেও গ্রেফতার করা হয়। এদিকে অপর ঘটনায় নরসিংদীর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিউল করিমের বিরুদ্ধে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের (পজীপ) ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮০৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর নরসিংদী সদর থানায় মামলা করা হয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর