বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

তুচ্ছ কারণে খুন নিরাপত্তাকর্মী নূরনবী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিহত শেখ তাহিদুল ইসলাম নূরনবী ও রাসেল শেখ নয়ন একই এলাকার বাসিন্দা। গত বছরের জুলাইয়ে বাগেরহাটে নৌকাবাইচ দেখতে যান দুজন। সে সময় অসাবধানতায় রাসেলের সাইকেল নূরনবীর গায়ে লাগে। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাসেলকে মারধরও করেছিলেন নূরনবী। এক বছর আগের সেই ঘটনার জেরে রাসেল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী নূরনবীকে খুন করেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১-এর একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১-এর মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাসেল তার সংশ্লিষ্টতার কথা অবলীলায় স্বীকার করেছেন। বাকিটা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবেন। তিনি জানান, ২০ মে রাতে নূরনবী বুথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করতেন।

 রাতে বুথে গিয়ে নূরনবীকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হন। এরপর দুজনের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। একপর্যায়ে রাসেল এটিএম বুথে থাকা ছুরি দিয়েই নূরনবীর গলায় আঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পাশের ড্রেনে ফেলে খুলনা পালিয়ে যান তিনি।

নিহত নূরনবী ১ মে ‘গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামের প্রতিষ্ঠানের অধীনে ইবিএলের ওই বুথে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ শুরু করেন। রাসেলও এই প্রতিষ্ঠানে গত এপ্রিল পর্যন্ত চাকরি করেছিলেন। ৯ মে আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিস নামের প্রতিষ্ঠানে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন রাসেল। প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকার সেনানিবাস এলাকায় ইবিএলের একটি এটিএম বুথ থেকে নূরনবীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর