সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডেসটিনির অবসায়ন প্রশ্নে আপিলের আদেশ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড কোম্পানি অবসায়ন বা অবলুপ্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টের জারি করা রুল স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ আদেশ দেবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ ডেসটিনির করা এক আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছে। আদালতে গতকাল ডেসটিনির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম বদরুদ্দোজা এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গত ১৫ মে ডেসটিনি অবসায়নের বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি এম আর হাসানের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ।

হাই কোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে কোম্পানির পরিচালক লে. জে. এম হারুন-অর রশীদ ও পাঁচজন শেয়ার হোল্ডার। ২১ মে চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে ২৭ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী গতকাল শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করে আদালত।

হাই কোর্টের আদেশের পর আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা জানান, ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্টার্ড হওয়া কোম্পানিটির ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বর্ষগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভা বিলম্বের মার্জনা চেয়ে ওই কোম্পানির পরিচালক লে. জে. এম হারুন-অর-রশীদ ও পাঁচ শেয়ার হোল্ডার হাই কোর্টে আবেদন করেন। হারুন-অর-রশীদ ছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন, কাজী মোহাম্মদ আশরাফুল হক, মো. সাইফুল আলম রতন, সিরাজুম মুনীর, মো. জাকির হোসেন, বিপ্লব বিকাশ শীল। আবেদনে বিবাদী করা হয় জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের রেজিস্ট্রার ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডকে।

বদরুদ্দোজা আরও বলেছিলেন, আইন অনুসারে প্রতি ইংরেজি পঞ্জিকা বছরে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হয়। এতে ব্যর্থ হলে কোম্পানির যে কোনো সদস্যের আবেদনক্রমে আদালত উক্ত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করতে অথবা আহ্বান করার নির্দেশ দিতে পারবে এবং আদালত উক্ত সভা আহ্বান অনুষ্ঠান ও পরিচালনার জন্য যেরূপ সমীচীন বলে বিবেচনা করবে সেইরূপ অনুবর্তী ও আনুষঙ্গিক আদেশ প্রদান করতে পারবে। এ আইন অনুসারে তারা হাই কোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু যে ছয়জন আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ডেসটিনির সভাপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ শর্ত সাপেক্ষে জামিনপ্রাপ্ত। জামিনের শর্ত ছিল— তদন্ত পর্যন্ত তিনি এ কোম্পানির কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখবেন না। এসব কারণে আদালত এজিএমের বিষয়ে আদেশ না দিয়ে কোম্পানিটির অবসায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের প্রতি নোটিস জারি করেছে বলে জানান এ কে এম বদরুদ্দোজা।

 

সর্বশেষ খবর