শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে। শুনানি ১৫ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আপিলের শুনানিতে খালেদার পক্ষে আইনজীবী আবদুর রেজাক খান মামলার পেপারবুক থেকে এফআইআর পড়েন। এরপর চার্জশিট পড়েন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এ মামলায় পাঁচ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের পর জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর ১৬ মে তা বহাল রাখে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সাজা বাতিল চেয়ে খালেদার আপিল ৩১ জুলাইর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে ৩১ জুলাইর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে খালেদার রিভিউ আবেদন স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আইনজীবীরা জানান, আদালত আদেশে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শুরু করতে বলেছে। ৩১ জুলাইর মধ্যে আপিল শুনানি শেষ করা সম্ভব না হলে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, আবদুর রেজাক খান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফারুক হোসেন প্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, রবি থেকে বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি হবে। রবি, সোম ও বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় শুনানি শুরু হবে। মঙ্গল ও বুধবার সকাল থেকে সারা দিন শুনানি হবে।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সম্পূরক পেপারবুক চেয়ে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রমান। তিনি বলেন, মামলাসংশ্লিষ্ট আট ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের সংযুক্তি চেয়ে সম্পূরক পেপারবুকের আবেদন করা হয়েছে। রবিবার এ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দী। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে অন্য আসামিদের ১০ বছরের সাজা দেয় আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন।

সর্বশেষ খবর