শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ প্রণয়নের কাজ চলছে। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত বিচার করার জন্য পৃথক আদালত গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে। দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে গতকাল সমাপনী বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৯০ সালের। ১৯৯০ সালের আইন দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবে মাদক ব্যবসায় অর্থলগ্নিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ আইনের আওতায় মৃত্যুদণ্ড প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নতুন আইনে মাদকাসক্ত শনাক্তের জন্য ডোপ টেস্টের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন করে আবির্ভূত কোনো মাদকদ্রব্যকে আইনের আওতায় মাদক হিসেবে ঘোষণার জন্য মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিসা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় একে মাদকদ্রব্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের তাত্ক্ষণিকভাবে শাস্তি প্রদানের নিমিত্ত মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হয়েছে।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ৩১২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অভিযান চলাকালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ ও র‌্যাব ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৩ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক লাখ ৬ হাজার ৬৩৬টি মামলা করেছে। এ সময় অন্যান্য মাদকদ্রব্যসহ ৪ কোটি ৭৯ হাজার ৪৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। ইয়াবা পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে মিয়ানমার ও ভারতে অবস্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের এবং মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা উভয় দেশের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তরপূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর