অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় জামিন নিয়ে রুল শুনানিতে হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। জেসমিন ইসলামের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
সূত্র জানায়, আদালতে জেসমিন ইসলামের আইনজীবীরা তার অসুস্থতার কথা জানালে আদালত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছে।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। সেদিন বিকালে দুদক তাকে গ্রেফতার করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, হলমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। এ প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়ার পরের আমদানি-রপ্তানির ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করা হয়। ওই সব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়। সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারিক আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। হাই কোর্ট একই বছরের ৫ নভেম্বর তার জামিন নিয়ে রুল জারি করে। সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার এক মামলায় গত ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
