আত্মপ্রকাশ করল আট দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ নামে নির্বাচনী জোট। নিরপেক্ষ নির্বাচন, নির্বাচনের আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনে টাকার খেলা, পেশিশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজিমুক্ত নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই জোট গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা। গতকাল রাজধানীর পল্টনে মুক্তিভবনে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আট দলের মধ্যে রয়েছে— সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।
জোটের সমন্বয়ক করা হয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক এবং কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু। জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে থেকে তিন মাস পরপর একজন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল হক। লিখিত বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের এক নজিরবিহীন মডেল চালু হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালের নির্বাচনও একই মডেলে হবে। একইভাবে একতরফা জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে। এ কারণে নির্বাচনের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রয়োজন। এই দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তুলবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।এ সময় নতুন জোটের পক্ষ থেকে তিনটি কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— ২৪ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল, ৪ আগস্ট মতবিনিময় সভা, আগামী ১০ ও ১১ আগস্ট দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে জনসভা ও মিছিল।