বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুতে আমি মর্মাহত

সিটি নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিটি নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার নীলনকশা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নির্বাচন করতে আসেনি। এসেছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। তিনি বলেন, রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় একজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি খুবই মর্মাহত। যে সম্ভাবনাময় সন্তান দুটি চলে গেল, বেঁচে থাকলে তারা কোনো বড় পর্যায়ে যেত। কিন্তু এ ঘটনার পর সরকার চুপ করে বসে নেই। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার কোনো কিছুই বাদ থাকবে না। আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বলব তোমরা শান্ত হও, ক্লাসে ফিরে যাও, পড়াশোনায় মনোযোগী হও। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

কাদের বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ডাকা আন্দোলনকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মেয়াদে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা জয় লাভ করেছিল। এবার আমরা চারটিতে জিতেছি, তারা জিতেছে একটিতে। এর অর্থ পাঁচ ভাগের চার ভাগ জনগণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের রাজনীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে বর্জন করেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ওপর বিএনপির কোনো আস্থা নেই। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী পাস করেছেন। আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। সেখানে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই তাদের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। আমরা জানতে চাই, বিএনপি প্রার্থী কি সেখানে পুননির্বাচন চান?

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় যে সরকার থাকবে, তার ক্ষমতা বর্তমান সরকারের মতো হবে না। তাদের ক্ষমতা সংকুচিত হবে। সবকিছু নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তারপরও বিএনপি নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু করণীয় থাকবে না। তবে আমরা মনে করি বিএনপি না এলেও ওই নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দল অংশ  নেবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর