বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি ও এক-এগারোর কুশীলবরা এক হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে যখন শান্তিময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে তখন এক-এগারোর কুশীলবরা রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অশুভ খেলায় মেতে উঠেছেন। বিএনপি ওয়ান-ইলেভেনের সেই কুশীলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের জাল বোনা যায় কিনা, সেই গোপন চক্রান্ত করে যাচ্ছে। গতকাল বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর জরুরি বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি। 

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের একটি মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার কাছে জানতে চাই গুণ্ডাতন্ত্র কাকে বলে? চোখ উপড়ে ফেলল আমাদের ছেলের আর ভিন্ন উদ্দেশ্যে তাকে হাইজ্যাক করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ দেওয়া হলো। আক্রান্ত হলাম আমরা, অথচ দেশে-বিদেশে সুপরিকল্পিতভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আমাদের আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হলো। রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জানি কোথায় কোন মিটিং হচ্ছে। দেশে হচ্ছে, বিদেশে হচ্ছে। প্রথম প্রহরে হচ্ছে, মধ্য প্রহরে হচ্ছে। শেষ প্রহরে হচ্ছে, রাতের অন্ধকারে হচ্ছে। সরকার কিছু জানে না  সেটা ভাবলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সবকিছুই আমরা জানি। সবকিছু সরকারের নলেজে আছে। কত ষড়যন্ত্র হয়েছে, কত বৈঠক হয়েছে। ব্যবস্থা নিলে কারও জেলের বাইরে থাকার কথা ছিল না। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরছি। বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা সরকার হটানোর চক্রান্তের অংশ হিসেবে ঢাকা অচলের কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা অচল করার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ অচল করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের অতীদের সব চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে।

এই অপপ্রয়াসও ভেস্তে যাবে। ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার পথে। এখানেও তাদের মিশন ফেল। আর কত ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করবে? তিনি বলেন, যত অপবাদ আসুক। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে যতটা সম্ভব সহনশীল হব। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের বিবৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘকে আমরা জানিয়েছি এটা অপপ্রচার। গতকাল বিকালে ঢাকায় বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কূটনীতিকদের ব্রিফ করতে চায়, করুক। তারা তো এটা করেই যাচ্ছে। এটা তাদের রেগুলার প্র্যাকটিস। নালিশ করা তাদের অভ্যাস। দেশে যখন আন্দোলন হয় তখন বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বলেছি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার তালিকা দিন। ঘটনায় ছাত্রলীগের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আমরা সাংগঠনিক ও আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। বিচারের মুখোমুখি হতে আওয়ামী লীগের কোনো দ্বিধা নেই। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কেউ রেহাই পায়নি, পাবেও না। 

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি যে কোনো কারণে হোক আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে এখন একটু দূরে। এটা তার ব্যক্তিগত মতামত।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল, আবদুস সবুর, বিপ্লব বড়ুয়া, আনোয়ার হোসেন, গোলাম রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর