আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আশা করছি আগামী নির্বাচনে আমরাই জয়লাভ করব। গতকাল সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী এ প্রত্যাশার কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহার কমানো হয়েছে। সেটা কার্যকরও করা হয়েছে। এজন্য সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও যৌক্তিকীকরণ করা প্রয়োজন। সেটা করতেই আজ (গতকাল) অর্থমন্ত্রণালয়কে প্রধান করে একটি কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছি। ওই কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেবে। তারপর সেটা চূড়ান্ত করা হবে।
তবে যেহেতু নির্বাচনের আর মাত্র অল্প কিছুদিন বাকি রয়েছে তাই সঞ্চয়পত্রের কমানো সুদের হার বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের পর। নির্বাচনে যারা জয়ী হবে সে সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৯ আগস্ট থেকে ব্যাংক আমানতে ৬ শতাংশ ও ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর হচ্ছে। তাই ব্যাংক আমানতে সুদহার থেকে সঞ্চয়পত্রে সুদহার পার্থক্য অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সুদহার কমাতে চায় সরকার। এ জন্য অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দেবে। তবে রিপোর্ট যাই আসুক, আগামী নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হবে না।তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহারের ক্ষেত্রে আমরা বাজার রেট থেকে এক বা দেড় শতাংশ বেশি রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এখন এটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা কমাতে হবে। তবে পরবর্তী সরকার সঞ্চয়পত্র কমানোর বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে। আশা করছি, আমরা আবারও সরকারে আসব। আমরাই এটি বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরও বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকেই সঞ্চয়পত্র অধিদফতরের সব কার্যক্রম অটোমেশন হয়ে যাবে। এ অটোমেশনে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে লিংক থাকবে। তাই কেউ সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র কিনছে কি না সেটি সহজেই ধরা পড়বে। সঞ্চয়পত্রে কালো টাকা বিনিয়োগ রোধে আগামীতে এক লাখ টাকার বেশি কেউ সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে তাকে চেকের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। যা বর্তমানে ৫০ হাজার টাকার সীমা রয়েছে। এ সময় তাকে প্রশ্নের উত্তরে সহায়তা করেন শামসুন্নাহার বেগম।