তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ১৫ আগস্টের পট পরিবর্তন বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত ছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের চশমা দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে দেখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মাপকাঠি দিয়ে বাংলাদেশে যা ঘটছে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। পরীক্ষায় পাস করলে গ্রহণ করব, নইলে তা প্রত্যাখ্যান করব।’ গতকাল খুলনা বেতার চত্বরে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যের হত্যার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে খন্দকার মোশতাক আহমেদ। সপক্ষের লোক কিন্তু পক্ষ ত্যাগ করে জাতির পিতাকে হত্যা করল। মীর জাফর, রাজাকার ও খন্দকার মোশতাক হচ্ছে ইতিহাসের বেইমানি ঘটনার তিন খলচরিত্র।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, খুলনার সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বেতারের কর্মসূচি পরিচালক মো. জাকির হোসেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার রাজনীতির ধারক হচ্ছে খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াত। এ কারণে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে রাজনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে বিএনপি-জামায়াতকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের সমার্থক। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছিন্ন-অবিভক্ত। তিনি বিশ্বনেতা, শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক। আর শেখ হাসিনা হলেন আমাদের মাথার ছাতা।’ এর আগে তথ্যমন্ত্রী ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিভাস্কর্যের ফলক উন্মোচন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
