বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
খুলনা-৪ উপনির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশায় চার আওয়ামী লীগ নেতা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে তিন দফায় খুলনা-৪ আসনে (দিঘলিয়া-রূপসা-তেরখাদা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা। একই সঙ্গে টানা সাতাশ বছর তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে দাপুটে এই নেতার মৃত্যুতে সংসদীয় আসন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এই আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। এরই মধ্যে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় গ্রুপিং-লবিং শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের চার নেতা। যদিও মাঠপর্যায়ের সমর্থন রয়েছে মোস্তফা রশিদী সুজার ছেলে দলের তরুণ নেতা এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণের প্রতি।

দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল। সম্প্রতি সাবেক ফুটবলার ও গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সালাম মুর্শিদীর নাম আলোচনায় এসেছে।

কামরুজ্জামান জামাল মনে করেন, সংসদ সদস্যের মতো দায়িত্বশীল পদে আবেগ দিয়ে নয়, রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, দিঘলিয়া, রূপসা ও তেরখাদার বিশাল এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। এলাকার উন্নয়নে সাধারণ মানুষও তাকে সমর্থন করবেন। মাঠপর্যায়ে সুজা দাপুটে নেতা ছিলেন। তার বিশাল কর্মী-সমর্থকদের সবাই সুকর্ণের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন বলে জানান তেরখাদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা চম্পা। তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরে সুকর্ণ সরাসরি মাঠের কর্মীদের সঙ্গে কাজ করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খুলনা-৪ আসনে দলের মনোনয়ন পেতে অনেকে কাজ করছেন। তবে হাইকমান্ড এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। তিনি বলেন, ‘মোস্তফা রশিদী সুজা দীর্ঘদিন রাজনীতিতে ছিলেন। তার সন্তান সুকর্ণের প্রতি আমাদের সহানুভূতি থাকবে। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে নেতা-কর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবেন।’ গত ২৭ জুলাই সুজা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে সংসদের খুলনা-৪ আসনটি শূন্য হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর