‘হে পিতা তোমার আদর্শে শানিত আমাদের চেতনা/অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুমি নিরন্তর প্রেরণা’— এমন পঙিক্ত উচ্চারণের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা করল বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখা। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে মঙ্গলবার রাতে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি লিডার রানা ফেরদৌস চৌধুরী এবং সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি হাজী আবদুল কাদের মিয়া। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতে নৃশংসতার শিকার বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ২২ জনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের আগে মাওলানা সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাঠের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধান অতিথি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তৃতায় বলেন, ‘১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানবতার মুক্তির লক্ষ্যে যেসব পয়েন্টের অবতারণা করেছিলেন, ৪৩ বছর পর সেসব ইস্যুতে জাতিসংঘ কাজ করছে। আর এভাবেই সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির বঙ্গবন্ধু নিজেকে বিশ্বনেতায় পরিণত করেছিলেন।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখিয়ে দেওয়া পথেই হাঁটছে আজকের বাংলাদেশ এবং তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা।’ অনুষ্ঠানের একমাত্র আলোচক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেওয়া গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহসভাপতি লুত্ফুল কবীর ও হোস্ট সংগঠনের সম্পাদক হাজী আবদুল কাদের মিয়া। অনুষ্ঠান মঞ্চে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আবদুল হাই জিয়া, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক হাজী জাফর উল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম দুলাল।