প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত বছরের ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নেওয়া লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে জনতা ব্যাংকের একই পদে (নির্বাহী কর্মকর্তা) নিয়োগের পরীক্ষা যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল এ-সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট সুপ্রকাশ দত্ত অমিত ও রিপন বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ওই লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রেক্ষাপটে ১৫ জন পরীক্ষার্থী রিট করেছিলেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২২ মে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা বাতিলে রুল জারি করে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৫ জনের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রুল জারি করা হয়।
গত বছরের ২৪ মার্চ জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৩৪টি পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। এরপর ২১ এপ্রিল ৯ হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
