শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রশ্ন আইনমন্ত্রীর

মানবাধিকারবাদীরা ২১ বছর কোথায় ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বর্তমানে আমাদের অনেকেই হিউম্যান রাইটস্ নিয়ে কথা বলছেন। মানবাধিকার বিষয়ে আমাদের জ্ঞান দিচ্ছেন। তবে এ দেশে যখন হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ রাখতে আইন করা হলো, সেদিন তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অ্যাক্টের নামে জাতির পিতা হত্যার বিচার বন্ধ ছিল ২১ বছর। এই মানবাধিকারবাদীরা সেই সময় কোথায় ছিলেন— প্রশ্ন রাখেন তিনি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন। রাজধানীর আবদুল গনি সড়কে অবস্থিত নিবন্ধন অধিদফতর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন লেজিসলেটিভ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিচালক খান মো. আবদুল মান্নান, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমা বিনতে কাদির, অতিরিক্ত সচিব নাসরিন সুলতানা ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনই দেশের জনগণের স্বাধিকার বা অধিকারের বিষয়ে কোনো আপস করেননি। একই সঙ্গে তিনি কখনই খুনোখুনি-বিভেদও পছন্দ করতেন না। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলতেন। গণতন্ত্র মেনে চলতেন। ৭ মার্চের ভাষণেও তা স্পষ্ট ছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর পুরো ভাষণে জাতিকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। কিন্তু আগে হামলা করতে বলেননি। যখন ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালায়, তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু অস্ত্রের ঝনঝনানি ছাড়াই দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারীরা সেই যাত্রা থামিয়ে দিয়েছিল। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আজ সোনার বাংলার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রযাত্রা চলছে। এ অগ্রযাত্রা থামাতেও একটি মহল ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমরা যখন বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পদ্মা সেতু করতে গিয়েছি, সেই সহায়তাও বন্ধ করে দিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আবার আমরা যখন নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দিয়েছি, তখনো সেই মানুষগুলো হাসাহাসি করেছে। তবে আজ এই পদ্মা সেতুর জন্যই আমরা বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে বসতে পারছি। বিশ্ববাসী আজ বুঝতে পেরেছে, বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা বুঝে বলেন এবং বাস্তবায়ন করেন।’ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকতেও অনুরোধ করেন আইনমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর