শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
রোহিঙ্গা নিপীড়ন

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রতিদিন ডেস্ক

মিয়ারমারের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের চার সামরিক ও পুলিশ কমান্ডারসহ দুটাি সামরিক ইউনিটের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ মিয়ানমার ‘জাতিগত নিধন’ চালিয়ে যাচ্ছে।  গতকাল এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। রোহিঙ্গা নিপীড়নের জবাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কেউ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। অবশ্য এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ারমারের সেনাবাহিনীর একাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত বছর রোহিঙ্গদের ওপর নতুন করে অভিযান শুরুর পর আগস্ট থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা জানায়, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মেরেছে। এরপর অক্টোবরেই এর জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, ‘রাখাইনে যেসব সহিংসতার খবর আসছে, বিশ্ব তা দেখেও চুপ করে থাকতে পারে না।’ যা ঘটেছে সে জন্য মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকেই দায়ী করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এবারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ করেছে মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডার অং কায়াও জ, খিন মাউং সোয়ে, খিন হায়িং এবং সীমান্ত পুলিশ কমান্ডার থুরা সান লিউইন কে। তাদের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে পদাতিক বাহিনীর ৩৩ এবং ৯৯তম ডিভিশন। গত জুনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে মিয়ানমারের পদাতিক বাহিনীর এ দুই ডিভিশনের ভূমিকার পুরো চিত্রই তুলে ধরে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সেক্রেটারি সিগাল মান্ডেলকার বলেছেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী দেশজুড়ে জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা, জাতিগত শুদ্ধি অভিযান, হত্যা, ধর্ষণ, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞসহ অন্যান্য মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। মন্ত্রণালয় এসব ভয়াবহ কর্মকাণ্ড তদারককারী ইউনিট এবং নেতাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। রয়টার্স

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর