শিরোনাম
শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিয়ানমারকে চাপে রাখতে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে : রুশনারা আলী

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) রুশনারা আলী বলেছেন, মিয়ানমারকে চাপে রাখতে যুক্তরাজ্যের আরও পদক্ষেপ দরকার। এ জন্য যুক্তরাজ্যকে এখনো অনেক কিছু করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সাহায্য দ্বিগুণ বাড়ানোর আহ্বানের পাশাপাশি তিনি এ সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার তাগিদ দেন। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান। সংকট শুরুর বর্ষপূর্তির এক সপ্তাহ আগে শুক্রবার তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংস সহিংসতার এক বছর পূর্ণ হবে আগস্টে, কিন্তু এই মুহূর্তে কক্সবাজারে চলছে পূর্ণ বর্ষা মৌসুম। অকল্পনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছে রোহিঙ্গারা। বছরের পর বছর ধরে চলা কাঠামোগত বৈষম্যের ভয়ঙ্কর বর্ণনা আমি শুনেছি। সংকট চলা অবস্থায় বিশ্ববাসীর তাদের পরিস্থিতির কথা অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। এসব শরণার্থীর জন্য জাতিসংঘের আহ্বান জানানো তহবিলের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পাওয়া গেছে।

রোহিঙ্গাদের তাত্ক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে। এ ছাড়া সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় রোহিঙ্গাদের জীবন পুনর্গঠনে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরালো করার আহ্বান জানান তিনি।

রোহিঙ্গাদের অধিকার ও মিয়ানমারবিষয়ক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সর্বদলীয় গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রুশনারা বলেন, রোহিঙ্গাদের সমর্থনে নেতৃত্ব দেওয়ার অনন্য অবস্থান নেওয়ায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধন জোরালো থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষের উদারতা তুলনাহীন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করা সেখানকার স্থানীয়দের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদার কথা বিবেচনায় রাখতে হবে।

রুশনারা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায়বদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখা দরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেশটির সামরিক বাহিনীকে বিচারের মুখোমুখি করতে সহায়তা করছে কানাডা। এ ছাড়া মিয়ানমারের জঘন্য এই অপরাধের প্রমাণ সংরক্ষণেও পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। কিন্তু যুক্তরাজ্যকে অবশ্যই আরও অনেক কিছু করতে হবে।  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর