মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত কোস্টগার্ডের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও ভারতীয় কোস্টগার্ডের দ্বিপক্ষীয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক গতকাল ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানসংক্রান্ত অনুশীলন এবং তথ্য আদান-প্রদানসহ সাগরে পরিবেশ দূষণ রোধে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। গতকাল বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহকারী গোয়েন্দা পরিচালক লে. কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মারুফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক বলেন, নিরাপদ সমুদ্র অর্জন উভয় দেশেরই লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশই কাজ করে যাচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক ও এসওপি স্বাক্ষর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের সুযোগকে প্রসারিত করেছে।

এর মাধ্যমে দুই দেশের জাহাজের সফর বিনিময়, নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, দুর্যোগকবলিত জেলে ও নৌকা উদ্ধারে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পেশাদারি সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর আগে দুজন সফরসঙ্গীসহ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী ভারতীয় কোস্টগার্ডের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের (২৬-৩০ আগস্ট) সফরে ভারতে যান। গতকাল তিনি ভারতীয় কোস্টগার্ড সদর দফতরে পৌঁছালে একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর তিনি ভারতীয় কোস্টগার্ড মহাপরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ভারতীয় কোস্টগার্ডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পরিবার কল্যাণ সংঘের প্রেসিডেন্ট বেগম আফরোজা আওরঙ্গজেব চৌধুরীও এ সফরে অংশ নেন। সফরকালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মহাপরিচালকের ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান ও রিজিওনাল কমান্ডার নর্থইস্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং গোয়া শিপইয়ার্ড পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ-জাপান চুক্তি

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে ২৪টি উদ্ধারকারী বোট ও যন্ত্রপাতি প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-জাপান সরকারের মধ্যে ‘বিনিময় নোট’ ও ‘অনুদান চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

‘দ্য প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব রেসকিউ ক্যাপাসিটি ইন কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটার’ শীর্ষক এ প্রকল্পে জাপান সরকার ২১১.৭৪ কোটি টাকা অনুদান দেবে। ওই প্রকল্পে আধুনিক সুবিধাসংবলিত ৪টি ২০ মিটার বোট, ২০টি ১০ মিটার বোট (সম্ভাব্য) এবং চার সেট পোর্টেবল মেরিন অয়েল পলিউশান কন্ট্রোল যন্ত্রপাতি তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করবে।

এই ২৪টি আধুনিক সরঞ্জামসম্পন্ন বোট সংযোজনের ফলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের উপকূলীয় এলাকাসহ অভ্যন্তরীণ নৌপথে দুর্যোগপরবর্তী উদ্ধারের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং চার সেট মেরিন অয়েল পলিউশান কন্ট্রোল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন।

সর্বশেষ খবর