বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইউএনডিপির সমীক্ষা প্রতিবেদন

‘মারাত্মক’ ঝুঁকিতে কক্সবাজার

প্রতিদিন ডেস্ক

এগার লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে গিয়ে পরিবেশগতভাবে ‘মারাত্মক’ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে কক্সবাজার। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)র এক সমীক্ষায় শরণার্থী সংকটের ছয়টি সরাসরি, সাতটি প্রতিবেশগত প্রভাব চিহ্নিত করে এসব ঝুঁকি নিরসনের মাধ্যমে কক্সবাজারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে ১৯টি সুপারিশ করা হয়েছে। বিডিনিউজ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ওই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালীর শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের রান্নার কাজে প্রতি মাসে ৬৮০০ টন জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন হয়, যার মূল উৎস সেখানকার বনাঞ্চল। সেখানকার পরিবারপিছু বসতঘর নির্মাণের জন্য প্রয়োজন হয়েছে ৬০টি করে বাঁশ।

 ক্যাম্পগুলোতে বসানো হয়েছে কয়েক হাজার গভীর নলকূপ, যার প্রভাবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমার পাশাপাশি ভূমিধসের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। ওই এলাকার ১৫০২ হেক্টর প্রাকৃতিক বনভূমির মধ্যে ৭৯৩ হেক্টরই রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। এ ছাড়া টেকনাফ, উখিয়া ও হিমছড়ির ১২০০ থেকে ১৬০০ হেক্টর এলাকার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও যেসব পরিবেশ ও প্রতিবেশগত প্রভাবের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— অতিরিক্ত চাহিদার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়া, বাড়তি ব্যবহার এবং দূষণের কারণে ভূ-উপরিস্থ পানির সংরক্ষণ সীমিত হওয়া, কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, বসতি স্থাপনে পাহাড় কাটা এবং ভূমিক্ষয়, রান্নার কারণে বায়ুদূষণ, প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের নষ্ট ও মানুষ-প্রকৃতির দ্বন্দ্ব এবং জলে প্রতিবেশগত ব্যাঘাত সৃষ্টি।

এসব সংকট নিরসনে ইউএনডিপি শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশ পুনরায় ফিরিয়ে আনা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর